জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মাদারীপুর জেলা শাখার এক নেতার ব্যক্তিগত জীবনের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অভিযুক্ত নেতা আব্দুর রহিম, যিনি এনসিপির মাদারীপুরদ জেলা শাখার কার্যকরী সদস্য। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও আইডিতে ছড়িয়ে পড়লে তা দ্রুত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিডিওতে রহিমকে এক নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। ঘটনাস্থলটি মাদারীপুর শহরের একটি পরিচিত রেস্টুরেন্ট বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ভিডিওটি প্রকাশ পাওয়ার পর জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বস্তরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বিষয়টিকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিলেও, দায়িত্বশীল রাজনৈতিক পদে থেকে এমন আচরণ করাকে নিন্দনীয় বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।
এ প্রসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাদারীপুর জেলা শাখার সাবেক সদস্যসচিব মাসুম বিল্লাহ বলেন, **“আমরা এই ঘটনায় বিচলিত। একদিকে যেমন ব্যক্তিগত গোপনীয়তা জনসম্মুখে প্রকাশের এই প্রবণতা হতাশাজনক, তেমনি কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছ থেকে এমন অসামাজিক কার্যকলাপও কাম্য নয়।”**
ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এনসিপির অভ্যন্তরেও এ নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছে। দলীয় নেতাকর্মীরা এ ঘটনার কারণে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে জেলা শাখা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও এনসিপির মাদারীপুর জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম ফোন রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে অভিযুক্ত আব্দুর রহিমের সঙ্গেও একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনিও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনায় নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ফাঁস করাকে নিন্দা জানালেও, অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—একজন রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতা হয়েও কীভাবে তিনি এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়ালেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে নয়, বরং দলীয় ভাবমূর্তিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে এনসিপি জেলা নেতৃত্বের কাছ থেকে দ্রুত কোনো ব্যাখ্যা বা পদক্ষেপ আসবে বলে প্রত্যাশা করছেন সাধারণ মানুষ।